আজারবাইজান কাজের ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে আজারবাইজানের স্থানীয় নিয়োগ কর্তা থেকে চাকরির অফার লেটার বা চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে।
এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা বিভিন্ন মাধ্যমে আপনার অভিজ্ঞতা যাচাই করে চাকরির জন্য সিলেক্ট করবেন। এ সময় কাজের ধরন অনুযায়ী নিয়োগকর্তাকে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট প্রদান করে সহায়তা করতে হবে।
অতঃপর নিয়োগকর্তা আজারবাইজান ইমিগ্রেশন বিভাগে আপনার পক্ষ থেকে কাজের অনুমতি নিবেন বা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবেন।
অতঃপর ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদিত হলে আজারবাইজান দূতাবাস অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আজারবাইজান ভিসার জন্য আবেদন করে ভিসা তৈরি করতে হবে।
আজারবাইজান কাজের ভিসা
বর্তমানে আজারবাইজান কাজের ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
মূলত আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিট আবেদন এবং আজারবাইজান দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং বা আবেদন করতে টাকা ব্যয় করতে হয়।
এক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি এবং বাকি টাকা ভিসা তৈরির অন্যান্য প্রক্রিয়ায় খরচ হয়ে থাকে।
তবে সবশেষে এজেন্সিতে পরিচিত লোক থাকলে অথবা বিশেষ অফারের মাধ্যমে ন্যূনতম প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা কম খরচে আজারবাইজান ভিসা তৈরি করা যায়।
আজারবাইজান যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজান যেতে ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে নূন্যতম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যেমন-
আজারবাইজান স্টুডেন্ট ভিসার সাহায্যে যেতে নূন্যতম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
ফ্যামিলি ভিসার সাহায্যে আজারবাইজান যেতে ফ্যামিলি মেম্বার অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
এছাড়া আজারবাইজান কাজের ভিসা নিয়ে যেতে কাজের ধরন অনুযায়ী নূন্যতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
আজারবাইজান ভিসা চেক
অনলাইনের মাধ্যমে আজারবাইজান কাজের ভিসা চেক করার জন্য আজারবাইজান ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://evisa.gov.az/en/check-status ভিজিট করতে হবে।
এক্ষেত্রে আজারবাইজানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের ঘরে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার (Registration number) প্রদান করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করে পরবর্তী ঘরে ক্যাপচা কোড সঠিক ভাবে বসিয়ে কন্টিনিউ ( continue) অপশনে ক্লিক করলে আজারবাইজান ভিসা স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আজারবাইজান ভিসা চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আজারবাইজান কাজের ভিসা চেক করার জন্য আজারবাইজান ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://evisa.gov.az/en/check-status প্রবেশ করতে হবে।
অতঃপর তৃতীয় অপশন By passport number সিলেক্ট করে প্রথম ঘরে ই ভিসা নাম্বার ( e Visa number) প্রদান করে দ্বিতীয় ঘরে পাসপোর্ট নাম্বার ( passport number) প্রদান করতে হবে।
পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান করে তৃতীয় ঘরে ক্যাপচা কোড সঠিক ভাবে বসিয়ে কন্টিনিউ (Continue) অপশনে ক্লিক করলে আজারবাইজান ভিসা স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে।
আজারবাইজান যেতে কি কি লাগে
সাধারণত আজারবাইজান যেতে যে সকল কাগজপত্র লাগবে তা মূলত বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি এবং আজারবাইজান ইমিগ্রেশন বিভাগের উপর নির্ভর করে।
আজারবাইজান যেতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন-
- পর্যাপ্ত খালি পৃষ্ঠা যুক্ত নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদী বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং বিমান টিকেট।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং মেডিকেল রিপোর্ট।
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। (প্রয়োজন হলে জমা দিতে হবে)
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি। (বয়স প্রমাণের জন্য প্রয়োজন হলে জমা দিতে হবে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং এজেন্সি নির্ধারিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আজারবাইজান ভিসা এজেন্সি থেকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে ভিসা আবেদন করা যায়।
শেষ কথা
প্রতিনিয়ত আজারবাইজান ভিসার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজারবাইজান কাজের ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঠিক ভাবে জমা দিতে হবে। কেননা কাগজপত্রে কোন ত্রুটি থাকলে আজারবাইজান ভিসা তৈরিতে প্রয়োজনের তুলনায় ন্যূনতম ২০ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় বেশি লাগতে পারে। ধন্যবাদ।
FAQs (Frequently Asked Questions)
আজারবাইজান ভিসার মেয়াদ কত?
সাধারণত ভিসার ক্যাটাগরি বা পেশা অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কত?
সাধারণত আজারবাইজান ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ ১ বছর হয়ে থাকে, তবে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়।
আজারবাইজান কোন কাজের চাহিদা বেশি?
সাধারণত আজারবাইজান তেল, গ্যাস এবং শিক্ষা সহ গার্মেন্টস শিল্পে কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি।
আজারবাইজানে কি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন?
হ্যাঁ, আজারবাইজান গাড়ি ড্রাইভিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
আজারবাইজানে কর্মঘণ্টা কত?
সাধারণত আজারবাইজান শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।
আজারবাইজান বিদেশি কর্মীদের জন্য কি সুবিধা দেওয়া হয়?
হ্যাঁ, আজারবাইজান অধিকাংশ কোম্পানি বিদেশী কর্মীদের বাসস্থান এবং স্বাস্থ্য বীমা সহ পরিবহন খরচ বহন করে।
কিভাবে আজারবাইজান ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
স্থানীয় নিয়োগ কর্তার থেকে কাজের প্রস্তাব পেলে তাদের মাধ্যমে আজারবাইজান কাজের ভিসা আবেদন করতে হবে।