বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল ও টিকেট মূল্য ২০২৫

সাধারণত ফ্লাইট সিডিউল বলতে বিমান চলাচলের নির্দিষ্ট সময়সূচী বোঝানো হয়। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করা যায়।

সাধারণত বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ সম্পর্কিত সকল তথ্য সহ বিমানবন্দর ফ্লাইট নাম্বার এবং অন্যান্য সকল তথ্য ফ্লাইট সিডিউল থেকে যাচাই করা যায়।

বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিমানের ফ্লাইট সিডিউল সহ টিকেট চেকিং এবং যে কোন ক্যাটাগরির টিকেট বুকিং করা যায়।

বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল

বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করার জন্য প্রথমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে https://www.biman-airlines.com/ প্রবেশ করতে হবে।

বিমান কখন একটি গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে চলাচল করবে সেই ফ্লাইট সিডিউল সম্পর্কে জানা থাকলে বিমানের ফ্লাইট মিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশ কমে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফ্লাইট সিডিউল অপশন সিলেক্ট করে প্রথম ঘরে যে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হবেন ওই এয়ারপোর্ট সিলেক্ট করতে হবে।

অতঃপর দ্বিতীয় ঘরে গন্তব্যের এয়ারপোর্ট সিলেক্ট করে পরবর্তী ঘরে তারিখ সিলেক্ট করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সিডিউল প্রদর্শিত হবে।

বাংলাদেশ বিমান টিকেট মূল্য

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান টিকেট মূল্য কম দূরত্বের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমানের টিকেট মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে বাংলাদেশ বিমানের টিকেট মূল্য টিকেটের ধরন অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যেমন-

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বিজনেস ক্লাস টিকেটের দাম ফ্লাইটের ধরন অনুযায়ী নূন্যতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বিমান বাংলাদেশ টিকেট চেক

বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করার পাশাপাশি বিমানে টিকেটও চেক করা উচিত। এক্ষেত্রে টিকেট সঠিক ভাবে বুকিং করা হয়েছে কিনা সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

বিমান বাংলাদেশ টিকেট চেক করার জন্য এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ওয়েব চেক ইন (web check in) অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

অতঃপর পিএনআর সিলেক্ট করলে ৬ ডিজিটের পিএনআর নাম্বার অথবা পাসপোর্ট নাম্বার সিলেক্ট করলে ১৩ ডিজিটের পাসপোর্ট নাম্বার সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।

পরবর্তী অপশনে লাস্ট নেইম প্রদান করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে টিকেটের স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে। উক্ত স্ট্যাটাস থেকে টিকেটের সকল তথ্য চেক করা যাবে।

বাংলাদেশ বিমান টিকেট অফার

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকেট ক্রয় করলে বিভিন্ন সময় ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। সাধারণত বিশেষ দিন উপলক্ষে এ সকল ডিসকাউন্ট প্রদান করা হয়।

যেমন বর্তমানে ২০২৫ সাল বা হ্যাপি নিউ ইয়ার উপলক্ষে আন্তর্জাতিক রুট অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল সকল টিকেটের মূল্য ১২% ডিসকাউন্টের অফার চলমান রয়েছে।

সাধারণত প্রোমো কোডের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকেট ক্রয় করলে এ সকল ডিসকাউন্ট অফার পাওয়া যায়।

এয়ার টিকেট বুকিং অনলাইন

বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকেট বুকিং করে অবশ্যই বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করে নিশ্চিত হতে হবে।

বাংলাদেশ বিমান টিকেট বুকিং করার জন্য প্রথমে বাংলাদেশ বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বুক ফ্লাইট অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

অতঃপর যে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা হবেন ওই এয়ারপোর্ট সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে গন্তব্যের এয়ারপোর্ট সিলেক্ট করতে হবে।

এরপর গন্তব্যের এবং রিটার্ন তারিখ সিলেক্ট করলে প্রমো কোড প্রদান করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে টিকেট স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হলে টিকেট বুকিং করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথা

বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইট সিডিউল চেক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এয়ারলাইন্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত। এয়ারলাইন্সের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে সকল প্রকার প্রতারণা থেকে নিরাপদে থাকা যায়। এছাড়া এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সকল আপডেট তথ্য জানা যায়। ধন্যবাদ।

FAQs (Frequently Asked Questions)

কীভাবে বাংলাদেশ বিমানের টিকিট বাতিল করা যায়?

বাংলাদেশ বিমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কথা বলে বাংলাদেশ বিমানের টিকেট বাতিল করা যায়।

বাংলাদেশ বিমানের টিকিট বাতিলে কি চার্জ প্রযোজ্য হয়?

হ্যাঁ, বাংলাদেশ বিমানের টিকেট বাতিল করতে নির্দিষ্ট শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে চার্জ প্রদান করতে হতে পারে।

বিমানবন্দরে কত ঘন্টা আগে উপস্থিত হওয়া উচিত?

ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটেরর ক্ষেত্রে ৩ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হতে হবে।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করা যায় কি?

হ্যাঁ, নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করা যেতে পারে, তবে সকল ক্ষেত্রে সময় পরিবর্তন করা যায় না।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট মিস হলে করনীয় কি?

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় টিকেট বুকিং করা যেতে পারে, তবে শর্ত প্রযোজ্য।

বাংলাদেশ বিমান কি কার্গো পরিবহন করে?

হ্যাঁ, বাংলাদেশ বিমান আন্তর্জাতিক এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে কার্গো পরিবহন করে থাকে।

Leave a Comment

Scroll to Top