বিমান বাহিনীর যোগ্যতা – [সেনা ও অফিসার পদের সর্বশেষ আপডেট]

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই আবেদন করতে পারে। সাধারণত বিমান বাহিনীর যোগ্যতা ছেলে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিমান সেনা পদে আবেদন করতে পুরুষ প্রার্থীদের শারীরিক উচ্চতা ন্যূনতম প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি থাকতে হবে।

অপর দিকে বুকের মাপের ক্ষেত্রে বিমান বাহিনীর যোগ্যতা স্বাভাবিক অবস্থায় নূন্যতম ৩০ ইঞ্চি এবং বুক প্রসারণের পর ন্যূনতম ৩২ ইঞ্চি থাকতে হবে।

এছাড়া পুরুষ প্রার্থীদের ওজন বয়স এবং উচ্চতার ভিত্তিতে নির্ধারিত স্কেল অনুযায়ী সঠিক থাকতে হবে। অতিরিক্ত ওজন হলে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে পুরুষ প্রার্থীদের দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ এবং বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হয়। তবে পদ অনুযায়ী বয়স ভিন্ন হতে পারে।

বিমান বাহিনীর যোগ্যতা

সাধারণত বিমান বাহিনীর যোগ্যতা মেয়েদের ক্ষেত্রে বিমান সেনা পদে আবেদনের জন্য শারীরিক উচ্চতা নূন্যতম প্রায় ৫ ফুট ১ ইঞ্চি থাকতে হবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মেয়ে প্রার্থীদের বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ন্যূনতম ২৮ ইঞ্চি এবং প্রসারণের পর ন্যূনতম ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে।

মেয়ে প্রার্থীদের ওজন বয়স এবং উচ্চতার বৃদ্ধিতে নির্ধারিত স্কেল অনুযায়ী সঠিক থাকতে হবে। স্কেলের অতিরিক্ত ওজন হলে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মেয়ে প্রার্থীদের জন্য দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ এবং বয়সসীমা ২২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা

বর্তমানে বিমানবাহিনীতে বিভিন্ন ট্রেডে বিমান সেনা নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ট্রেড অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন-

টেকনিক্যাল ট্রেডে বিমান বাহিনীর যোগ্যতা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

নন-টেকনিক্যাল ট্রেড এবং প্রভোস্ট ট্রেডে বিমান বাহিনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় যে কোনো বিভাগে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিউজিশিয়ান ট্রেডে যোগদানের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।

বিমান বাহিনীর অফিসার পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যোগ্যতা অফিসার পদে আবেদনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।

অপর দিকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের যে কোনো সাবজেক্ট থেকে স্নাতক পাস করতে হবে। তবে পদার্থবিজ্ঞান বিষয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।

এছাড়া বিমানবাহিনীর অফিসার পদে আবেদনের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতার নূন্যতম ৬৪ ইঞ্চি এবং মেয়ে প্রার্থীদের উচ্চতা ন্যূনতম ৬২ ইঞ্চি থাকতে হবে।

সাধারণত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অফিসার পদে সরাসরি নিয়োগের থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে অফিসার নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

পাইলট হওয়ার শারীরিক যোগ্যতা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যোগ্যতা একজন পাইলটের ক্ষেত্রে শারীরিক উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ প্রসারিত অবস্থায় ৩২ থাকতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে পাইলট পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ফিট থাকতে হবে।

কোন প্রকার শারীরিক বা মানসিক ত্রুটি অথবা বয়স এবং উচ্চতার ভিত্তিতে নির্ধারিত স্কেল অনুযায়ী অতিরিক্ত ওজন থাকলে পাইলট পদে যোগদান করতে পারবেনা।

মেয়েদের পাইলট হওয়ার উচ্চতা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মেয়েদের ক্ষেত্রে পাইলট পদে আবেদন করতে শারীরিক উচ্চতা ন্যূনতম ৬২ ইঞ্চি অথবা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি থাকতে হবে।

এছাড়া মেয়েদের বুকের মাপ প্রসারিত অবস্থায় নূন্যতম ৩০ ইঞ্চি থাকতে হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ নিয়মের ভিত্তিতে যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে।

শেষ কথা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যোগ্যতা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে আবেদনের ক্ষেত্রে মেয়ে এবং ছেলে উভয় প্রার্থীর বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত থাকতে হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর সকল প্রার্থীদের বিবাহ করার অনুমতি প্রদান করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।

FAQs (Frequently Asked Questions)

মেয়েদের পাইলট হওয়ার ওজন কত?

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে পাইলট পদে আবেদন করতে বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন সঠিক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান কে ছিলেন?

সর্বপ্রথম এয়ার ভাইস মার্শাল আকবর হোসেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উদ্দেশ্য কী?

শত্রু বাহিনী থেকে বাংলাদেশের আকাশ সীমা রক্ষা করা এবং বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা।

বিমান বাহিনীর পাইলট হতে কোন ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হয়?

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাইলট হতে বিমান পরিচালনা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কিত বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কোন ধরনের বিমান ব্যবহার করা হয়?

বিমান বাহিনীতে প্রায় সকল প্রকার যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, রিকনেসেন্স বিমান সহ যুদ্ধ হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম নারী পাইলট কে ছিলেন?

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মেজর (অব.) সালমা আর্শী প্রথম মেয়ে পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


Leave a Comment

Scroll to Top