কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার অবস্থান দূরে হওয়ায় বিমানের সাহায্যে কম্বোডিয়া যেতে হয়। কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা সাধারণত বিমান ভাড়ার উপর নির্ভর করে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে বিমান ভাড়া বাবদ সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

অর্থাৎ ভিসা এবং বিমান ভাড়া সহ আনুষাঙ্গিক সকল খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে ন্যূনতম প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে

কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে তার সাধারণত যাত্রার ধরন, আবাসন এবং ব্যক্তিগত চাহিদার উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে।

যেমন কম্বোডিয়া এক রাতের হোটেল ভাড়া ন্যূনতম প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় সাধারণ হোটেলে রাত্রি যাপন করে ভ্রমণের খরচ কমানো যায়।

এছাড়া সব থেকে কম খরচে টুরিস্ট ভিসার সাহায্যে কম্বোডিয়া যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

কম্বোডিয়া বেতন কত

সাধারণত কম্বোডিয়ায় বিদেশি কর্মীদের বেতন কাঠামো মূলত কাজের ধরন এবং কোম্পানির উপর ভিত্তি করে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

তবে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কম্বোডিয়া কাজের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকার উপরে হতে পারে।

কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

অনেকেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া গিয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করেন। তবে কম্বোডিয়া বৈধ ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ও উপযুক্ত বৈধ ভিসা থাকা বাধ্যতামূলক।

কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রথমত একজন নিয়োগকারীর মাধ্যমে কম্বোডিয়াম শ্রম মন্ত্রণালয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।

অতঃপর ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে বিভিন্ন মেয়াদে কাজের ভিসা তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। এক্ষেত্রে কম্বোডিয়ান দূতাবাসে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়।

কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ-

  • পর্যাপ্ত খালি পৃষ্ঠা যুক্ত বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং মেডিকেল রিপোর্ট।
  • অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ইত্যাদি।

বর্তমানে কম্বোডিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হয় না।

কম্বোডিয়া দেশ কেমন

কম্বোডিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কম্বোডিয়ার জলবায়ু উষ্ণ হওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় গরম থাকে। কম্বোডিয়ায় প্রচুর নদ-নদী, সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।

সাধারণত কম্বোডিয়ার খাবার, বাসস্থান ও পরিবহন ব্যবস্থা তুলনামূলক সাশ্রয়ী। কম্বোডিয়ায় অসংখ্য বিদেশি রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক স্কুল রয়েছে।

শেষ কথা

কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা সাধারণত সিজনের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অফ সিজনে সর্বনিম্ন প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাওয়া যায়। ধন্যবাদ।

FAQs (Frequently Asked Questions)

কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত?

ভিসার ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে কম্বোডিয়া ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

কম্বোডিয়া টাকার মান কত?

বর্তমানে কম্বোডিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের প্রায় ০.০৩০ টাকা।

কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?

সাধারণত কাজের ভিসার সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে নূন্যতম বয়স ১৮ বছর থাকতে হয়।

বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে?

বিমানের বিরতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে ন্যূনতম প্রায় ৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে।

বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত?

বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া প্রায় ২,৮৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ড্রাইভিং ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

Leave a Comment

Scroll to Top