বর্তমানে ইরাকে বেতন কত তা সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে নূন্যতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
ইরাকে বিদেশি শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইন প্রচলিত রয়েছে। যা বিদেশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রদান ও বাড়তি সুবিধা প্রদান করে।
প্রতিনিয়ত ইরাকে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ইরাকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বর্তমানে ইরাকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজারের অধিক বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছে। ইরাকে অবস্থিত এ সকল বাংলাদেশী শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
ইরাকে বেতন কত
বর্তমানে অসংখ্য বাংলাদেশী শ্রমিক ইরাক বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। ইরাকে বেতন কত তা সাধারণত পেশার উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়। যেমন-
- ইরাক একজন ড্রাইভারের বেতন নূন্যতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা।
- ইরাক একজন ক্লিনারের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- ইরাক একজন ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা।
- ইরাক একজন নির্মাণ শ্রমিকের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা।
তবে ইরাকে বেতন কত তা শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকার উপরে হতে পারে।
ইরাক যেতে কত টাকা লাগে
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ইরাক যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
এছাড়া ইরাক ভ্রমণের খরচ বিমান ভাড়া এবং ভিসা ফি সহ আনুষাঙ্গিক খরচের উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে অফ সিজনে সর্বনিম্ন প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচে বাংলাদেশ থেকে ইরাক ভ্রমণ করা যায়।
ইরাক ভিসা ফর বাংলাদেশী
বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে ইরাক ভ্রমণ কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে ভিসা প্রয়োজন। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ইরাক ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।
এক্ষেত্রে ইরাক ভিসা অফিস কর্তৃক নির্ধারিত কিছু কাগজপত্র এবং আবেদন ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্যে আবেদন করা যায়।
ইরাক ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ-
- ন্যূনতম ৫ মাস মেয়াদী বৈধ বাংলাদেশ পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি। (প্রয়োজন হলে জমা দিতে হবে)
- অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং দক্ষতার সার্টিফিকেট। ইত্যাদি।
বর্তমানে ইরাক সরকার ই ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে। ইরাক ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া এবং শর্তাবলী সম্পর্কিত আপডেট তথ্য পেতে ইরাকের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে।
ইরাক যেতে কত বছর লাগে
সাধারণত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যে কোন বয়সের ব্যক্তি ইরাক যেতে পারে। তবে ইরাক ভ্রমণের ক্ষেত্রে শিশুদের অভিভাবকের অনুমতি পত্র প্রয়োজন হয়।
তবে ইরাক কাজের ভিসার ক্ষেত্রে বয়স সীমা নির্ধারিত রয়েছে। কাজের ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ইরাক যেতে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থাকতে হবে।
শেষ কথা
ইরাকে বেতন কত তা সাধারণত কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ইরাকে দক্ষতাহীন শ্রমিকের তুলনায় দক্ষ বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শ্রমিকের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
FAQs (Frequently Asked Questions)
ইরাক যেতে কত সময় লাগে?
ট্রানজিটের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে ইরাক যেতে নূন্যতম প্রায় ৬ ঘন্টা থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
ইরাক কোন মহাদেশে অবস্থিত?
ইরাক এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
কখন ইরাক যাওয়ার খরচ কম হয়ে থাকে?
সাধারণত গ্রীষ্মকালে এবং ভ্রমণের ন্যূনতম ১ মাস পূর্বে টিকেট ক্রয় করলে কম খরচে ইরাক যাওয়া যায়।
ইরাক টাকার মান?
বর্তমানে ইরাকের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ০.০৯৩ টাকা।
ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমানে ইরাকে কৃষি এবং তেল খাতে কাজের চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় বেশি।
ইরাক ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইরাক ভিসা পেতে ন্যূনতম প্রায় ১০ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
ইরাক কোম্পানি ভিসা বেতন কত?
কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে ইরাকে বেতন কত হবে তা কাজের ধরন অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।