বর্তমানে লিথুনিয়া বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সাধারণত লোকেশনের উপর নির্ভর করে।
কেননা লিথুনিয়া অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল স্থানে সাধারণ কাজের চাহিদা বেশি এবং উন্নত শহরগুলোতে উচ্চ পদস্থ কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে তা অনেকটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন কোম্পানির উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
সাধারণত লিথুনিয়া অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল স্থানে সাধারণ কাজ যেমন, নির্মাণ শ্রমিক এবং গাড়ির ড্রাইভার সহ বিভিন্ন দোকানে কাজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে লিথুনিয়া বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে তা সাধারণত কাজের সেক্টরের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। যেমন-
লিথুনিয়া ফ্যাক্টরি সেক্টরে মেশিন অপারেটর এবং প্যাকেজিং শ্রমিক সহ অটোমেশন টেকনিশিয়ান এবং ফ্যাক্টরি কর্মীর চাহিদা সব থেকে বেশি হয়ে থাকে।
অপর দিকে লিথুনিয়া রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল সেক্টরে ওয়েটার এবং সেফ বা রাধুনী সহ রিসেপশনিস্ট এবং ম্যানেজারের চাহিদা তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়া লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি তা ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
বর্তমানে লিথুনিয়া পার্টটাইম কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন নূন্যতম প্রায় ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাধারণত লিথুনিয়া স্টুডেন্টদের জন্য প্রাইভেট পড়ানো এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তবে লিথুনিয়া ফুল টাইম কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন কাজের ধরন অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
বর্তমানে লিথুনিয়া ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সর্বনিম্ন প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হয়।
ভিসা আবেদন ফি এবং আনুষাঙ্গিক সকল খরচ মিলিয়ে লিথুনিয়া ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। যা মূলত ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে। যেমন-
- লিথুনিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
- লিথুনিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা।
- লিথুনিয়া ফ্যামিলি ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা।
তবে সরকারি ভাবে কম খরচে লিথুনিয়া ভিসা তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে এজেন্সির তুলনায় ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচ হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে
এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়া কাজের ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে সরকারি ভাবে ন্যূনতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম খরচে লিথুনিয়া কাজের ভিসা তৈরি করা যায়।
অর্থাৎ সরকারি ভাবে ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে লিথুনিয়া কাজের ভিসা তৈরি করা যায়।
লিথুনিয়া ভিসা আবেদন
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে লিথুনিয়া ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করা যায়।
এছাড়া অফলাইনে লিথুনিয়া দূতাবাসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস জমা দিয়ে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করা যায়।
লিথুনিয়া ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন-
- বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং পূরণকৃত অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং নূন্যতম ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- মেডিকেল রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
লিথুনিয়া দূতাবাসের নিয়ম এবং এজেন্সির ভিন্ন নিয়মের উপর ভিত্তি করে কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়োজিত কর্মকর্তা থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।
লিথুনিয়া ভিসা আবেদন ফরম
সাধারণত লিথুনিয়া ভিসা আবেদন কেন্দ্র বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
লিথুনিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করে যাবতীয় সকল তথ্য প্রদান করতে হয়। যেমন- ব্যক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য অবস্থান এবং পরিকল্পনা ইত্যাদি।
শেষ কথা
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে উক্ত কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য কাজের তুলনায় সর্বনিম্ন প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন বেশি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ।
FAQs (Frequently Asked Questions)
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়ার দূরত্ব প্রায় ৬,৩৮১ কিলোমিটার।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে ন্যূনতম ২১ বছর লাগে, তবে অভিভাবকের অনুমতি পত্রের মাধ্যমে যে কোন বয়সে লিথুনিয়া যাওয়া যায়।
লিথুনিয়া কোন কাজের বেতন বেশি?
সাধারণত লিথুনিয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন উচ্চ পদস্থ কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।
লিথুনিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে ট্রানজিটের উপর ভিত্তি করে ন্যূনতম প্রায় ১০ ঘন্টা থেকে ২২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
ভিসার ক্যাটাগরি এবং বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক সকল খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে নূন্যতম প্রায় ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।