মালদ্বীপ বেতন কত টাকা তা সাধারণ কাজের ধরন অনুযায়ী নূন্যতম প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সাধারণত মালদ্বীপ দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ায় অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন শিল্পের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং অধিকাংশ মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ আসে।
তবে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যায়। বর্তমানে মালদ্বীপে প্রায় ১ লক্ষের অধিক বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে।
মালদ্বীপে বিদেশি শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের আইন রয়েছে। যা সকল বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি এবং অন্যান্য সকল সুবিধা প্রদান করে থাকে।
মালদ্বীপ বেতন কত
বর্তমানে মালদ্বীপে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। মালদ্বীপ বেতন কত হবে তা সাধারণত কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে। যেমন-
- মালদ্বীপ তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে কাজের বেতন নূন্যতম প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা।
- মালদ্বীপ স্বাস্থ্য সেক্টরে কাজের বেতন নূন্যতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা।
- এছাড়া মালদ্বীপ সাধারণ কাজের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা।
তবে মালদ্বীপ বেতন কত টাকা হবে তা অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নূন্যতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
তবে বিমানের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে নূন্যতম প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
এছাড়া অফ সিজনে এবং বিভিন্ন প্যাকেজে ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা খরচ করে মালদ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া যায়।
মালদ্বীপ ভিসা খরচ
সাধারণত মালদ্বীপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের ফ্রি ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ভিসার জন্য কোনো ফি দিতে হয় না।
তবে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ফি প্রদান করে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
মালদ্বীপ ভিসা প্রসেসিং
বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মালদ্বীপ ভিসা প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রায় ৫ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হয়।
মালদ্বীপ ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হয়।
মালদ্বীপ যেতে কি কি লাগে
সাধারণত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে ভিসা তৈরি করতে হয় না। এক্ষেত্রে নির্ধারিত কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। যেমন-
- ন্যূনতম ১ মাস মেয়াদী বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট।
- বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এয়ারলাইন্সের বিমান টিকেট।
- হোটেল বা রিসোর্টের প্রিপেইড বুকিং এর প্রমাণ।
- নূন্যতম দুই মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- এছাড়া যাত্রার পূর্বে IMUGA ওয়েবসাইটে ফর্ম জমা দিতে হবে।
তবে মালদ্বীপ ভিসা নীতির উপর ভিত্তি করে কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। তাই আপডেট তথ্য পেতে ভিসা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
শেষ কথা
বর্তমানে মালদ্বীপ বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। মালদ্বীপ বেতন কত তা সাধারণত পদের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়। যেমন নিম্ন পদস্থ কাজের তুলনায় উচ্চপদস্থ কাজের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
FAQs (Frequently Asked Questions)
মালদ্বীপ যেতে কত বছর বয়স লাগে?
কাজের ভিসায় বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স থাকতে হয়।
মালদ্বীপের ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা?
বর্তমানে মালদ্বীপের ১ ডলার বাংলাদেশের প্রায় ৭ টাকা ৮৬ পয়সা।
কবে মালদ্বীপ বাংলাদেশ ভিসা চালু হবে?
বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপ টুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা চালু থাকলেও কাজের ভিসা বন্ধ রয়েছে।
মালদ্বীপ রিসোর্ট ভিসা কবে চালু হবে?
বর্তমানে পর্যাপ্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের সীমিত আকারে মালদ্বীপ রিসোর্ট ভিসা প্রদান করা হয়।
মালদ্বীপ যেতে কি ভিসা লাগে?
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যেতে টুরিস্ট ভিসা লাগে, যা মালদ্বীপ সরকার বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রদান করা হয়।
মালদ্বীপ কোম্পানি ভিসা বেতন কত?
কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ বেতন কত হবে তা কোম্পানির উপর ভিত্তি করে নূন্যতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার উপরে হতে পারে।