মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসার দাম কত ২০২৫

বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে তা সাধারণত এজেন্সির উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমান ভাড়া প্রদান করতে হয়।

বিমান ভাড়া কম হলে মরক্কো যাওয়ার খরচ অনেকটা কম হয়। তাই মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে তা অনেকটা বিমান ভাড়ার উপরও নির্ভর করে।

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকতে হয়। বাংলাদেশ পাসপোর্ট তৈরিতে ন্যূনতম প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

সাধারণত বিভিন্ন টিপস এবং উপায় অবলম্বন করে বিমান ভাড়া এবং ভিসা, পাসপোর্ট তৈরির খরচ কমানো গেলে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যাওয়ার খরচ কমানো যায়।

মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে তা সাধারণত ভিসার ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন-

স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মরক্কো যেতে নূন্যতম প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়া মরক্কো ফ্যামিলি ভিসার সাহায্যে যেতে ফ্যামিলি মেম্বার অনুযায়ী ন্যূনতম প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে নূন্যতম প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়া মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে তা এজেন্সির উপর ভিত্তি করে নূন্যতম প্রায় ১৪ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মরক্কো ভিসার দাম কত

বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার মাধ্যমে মরক্কো যাওয়া যায়। মরক্কো ভিসার দাম কত হবে তা সাধারণত ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়। যেমন-

  • মরক্কো স্টুডেন্ট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
  • মরক্কো টুরিস্ট ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা।
  • মরক্কো বিজনেস ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা।
  • মরক্কো কাজের ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে বা মরক্কো যাওয়ার খরচ ভিসার দামের উপর নির্ভর করে। ভিসার দাম কম হলে মরক্কো যাওয়ার খরচ কম হয়।

সাধারণত মরক্কো ভিসা তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ন্যূনতম প্রায় ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি প্রদান করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।

মরক্কো বেতন কত

বর্তমানে মরক্কো বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। কাজের ধরন অনুযায়ী মরক্কো প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়।

এছাড়া অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন বেশি প্রদান করা হয়। মরক্কো অভিজ্ঞ সম্পন্ন কর্মীদের বেতন ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে মরক্কো উচ্চপদস্থ কাজের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

মরক্কো যেতে কি কি লাগে

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও মরক্কো ভিসা এবং বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এয়ারলাইন্সের বিমান টিকেট প্রয়োজন হয়।

মরক্কো ভিসা তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ-

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি। (প্রয়োজন হলে জমা দিতে হবে)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম এবং ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ।
  • মেডিকেল রিপোর্ট এবং দক্ষতার সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

মরক্কো দূতাবাস এবং এজেন্সির নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সঠিক কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে এজেন্সিতে নিয়োজিত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথা

মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে তা ভিসা, বিমান ভাড়া এবং এজেন্সি সহ সিজনের উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়। সাধারণত অফ সিজনে ভিসার দাম এবং বিমান টিকেট মূল্য কম থাকায় যাওয়ার খরচ কমে যায়। এছাড়া এজেন্সি থেকে বিশেষ ছাড় দিলে মরক্কো যাওয়ার খরচ কমানো যায়। ধন্যবাদ।

FAQs (Frequently Asked Questions)

মরক্কো যেতে কত সময় লাগে?

ট্রানজিটের উপরে ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে নূন্যতম প্রায় ১২ ঘন্টা থেকে ১৮ ঘন্টা সময় লাগে।

মরক্কো যেতে কত বয়স লাগে

কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যেতে ন্যূনতম ২১ বছর বয়স লাগে।

বাংলাদেশ থেকে মরক্কো কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে মরক্কোর দূরত্ব প্রায় ৯,২৯৫ কিলোমিটার।

মরক্কো যাওয়ার উপায় কি?

বৈধ মরক্কো ভিসা এবং বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানের টিকেট ক্রয় করে বাংলাদেশ থেকে মরক্কো যাওয়া যায়।

মরক্কো কিসের জন্য বিখ্যাত?

সাধারণত মরক্কো অসংখ্য প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম উপায়ে তৈরি পর্যটনকেন্দ্র থাকায় মরক্কো পর্যটনের জন্য বিখ্যাত।

মরক্কো ভিসা ক্রোয়েশিয়া

বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া নাগরিকদের জন্য মরক্কো ভিসা চালু রয়েছে।

মরক্কো যাওয়ার খরচ কিভাবে কমানো যায়?

মরক্কো যেতে কত টাকা লাগে বা মরক্কো যাওয়ার খরচ অফ সিজন অর্থাৎ মার্চ থেকে মে মাসে কম হয়ে থাকে।

Leave a Comment

Scroll to Top