এস্তোনিয়া ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
সাধারণত এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৩ টি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমত এস্তোনিয়ার স্থানীয় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার পেতে হবে।
দ্বিতীয়ত এস্তোনিয়ার স্থানীয় নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তৃতীয়ত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
তবে এস্তোনিয়া স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বর্তমানে এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে ন্যূনতম প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
এছাড়া এস্তোনিয়া ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ সর্বনিম্ন প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
অর্থাৎ সকল খরচ মিলিয়ে এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
এস্তোনিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যাওয়া যায়। এস্তোনিয়া ভিসার দাম সাধারণত ভিসার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন-
- এস্তোনিয়া ড্রাইভিং ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা।
- এস্তোনিয়া ক্লিনার ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
- এছাড়া এস্তোনিয়া কোম্পানি ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তবে ভিসা তৈরীর প্রক্রিয়া এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে এস্তোনিয়া ভিসার দাম ন্যূনতম প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে।
এস্তোনিয়া বেতন কেমন
সাধারণত এস্তোনিয়া নরমাল কাজের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
তবে সাধারণ শ্রমিকের তুলনায় অভিজ্ঞ শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।
এস্তোনিয়া দেশ কেমন
এস্তোনিয়া ডিজিটাল অগ্রগতির জন্য পরিচিত ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এস্তোনিয়ায় ই-গভর্নেন্স, মুক্ত ইন্টারনেট এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া এস্তোনিয়া অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী এবং খুবই উন্নত একটি দেশ। তাই এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করা সম্ভব।
এস্তোনিয়া টুরিস্ট ভিসা
ভ্রমণের জন্য এস্তোনিয়া জনপ্রিয় একটি দেশ। বর্তমানে একজন বাংলাদেশী নাগরিক টুরিস্ট ভিসার সাহায্যে ৯০ দিন পর্যন্ত এস্তোনিয়া ভ্রমণ করতে পারে।
বর্তমানে এস্তোনিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম সর্বনিম্ন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এস্তোনিয়া ভিজিট ভিসা
এস্তোনিয়া ভিজিট ভিসার মাধ্যমে ৯০ দিন পর্যন্ত পরিবার নিয়ে অথবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা যায়। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের মাধ্যমে ভিজিট ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়।
বর্তমানে এস্তোনিয়া এজেন্সির মাধ্যমে ভিজিট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
শেষ কথা
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কাজের ক্ষেত্রে মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থান দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এস্তোনিয়া ভিসা তৈরির প্রক্রিয়া পূর্বের তুলনায় জটিল হওয়ায় অসাধু এজেন্সি ও কর্মকর্তা থেকে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
FAQs (Frequently Asked Questions)
এস্তোনিয়া টাকার মান কত
বর্তমানে এস্তোনিয়া টাকার মান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩৮ টাকা ৩৬ পয়সা।
এস্তোনিয়া কি সেনজেন দেশ?
হ্যাঁ, এস্তোনিয়া ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ।
এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে নূন্যতম প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
এস্তোনিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বিমানের ট্রানজিটের উপর ভিত্তি করে এস্তোনিয়া যেতে ন্যূনতম প্রায় ৭ ঘন্টা থেকে শুরু করে ১৫ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এস্তোনিয়া যেতে কত বয়স লাগে?
কাজের ভিসার ক্ষেত্রে এস্তোনিয়া যেতে নূন্যতম বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
বাংলাদেশে এস্তোনিয়া দূতাবাস কোথায়?
বর্তমানে বাংলাদেশে এস্তোনিয়া দূতাবাস নেই, তবে জার্মানির দূতাবাস থেকে এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা হয়।